মুর্রায়া কোয়েনিগি হলো কারি পাতা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম, যা রুটাসি গোত্রভুক্ত। কারি পাতার গাছ ছোট আকৃতির এবং সাধারণত ৪ থেকে ৬ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এটি একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় গাছ যা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে পাওয়া যায়। কারি পাতা রান্নায় ব্যবহৃত হওয়ার পাশাপাশি ঔষধি গুণাবলীও বহন করে। কারি পাতা দেখতে নিম পাতার মতো হওয়ায় মিষ্টি নিম নামেও পরিচিত। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি২, ক্যালসিয়াম এবং লোহা প্রচুর পরিমাণে থাকে।
পুষ্টি তথ্য:
এনার্জি: ১০৮ ক্যালোরি
কার্বোহাইড্রেট: ১৮.৭ গ্রাম
আর্দ্রতা: ৬৩.৮ গ্রাম
ফাইবার: ৬.৪ গ্রাম
প্রোটিন: ৬.১ গ্রাম
মিনারেলস: ৪ গ্রাম
চর্বি: ১ গ্রাম
ক্যালসিয়াম: ৮৩০ মিলিগ্রাম
ফসফরাস: ৫৭ মিলিগ্রাম
লোহা: ০.৯ মিলিগ্রাম
তামা: ০.১ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেশিয়াম: ৪৪ মিলিগ্রাম
জিঙ্ক: ০.২ মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ: ০.১ মিলিগ্রাম
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
কারি পাতার গুঁড়ো কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
খালি পেটে কারি পাতার গুঁড়ো খেলে অ্যানিমিয়া নিরাময়ে সহায়ক।
ডায়রিয়া এবং পাচনতন্ত্রের সমস্যা কমায়।
এতে থাকা অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হার্ট ডিজিজ প্রতিরোধে কার্যকর।
কাশি ও ক্রনিক মিউকাস দূরীকরণে উপকারী।
নাক ও বুকের জ্বালা প্রশমনে সাহায্য করে।
লিভার ক্ষতি নিরাময়ে সহায়ক।
ত্বকের সংক্রমণ, দাগ, মূঁচে এবং নখের ফাঙ্গাসের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা।
ভিটামিন এ থাকার কারণে চোখের রোগ নিরাময়ে কার্যকর।
চুল পড়া কমায় এবং চুলের বৃদ্ধি উন্নত করে।
ড্যান্ড্রাফ্ট দূরীকরণে সাহায্য করে, চুল মজবুত করে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
৫ গ্রাম কারি পাতার গুঁড়ো নিয়ে ১০০ মিলি পানি সঙ্গে মিশিয়ে কয়েক মিনিট সিদ্ধ করুন। ছেঁকে খালি পেটে দিনে দুইবার পান করুন। এটি অ্যানিমিয়া ও অন্যান্য সমস্যায় উপকারী।













Reviews
There are no reviews yet.